কয়রার কৃষকদের সাথে ইউএনবির এ প্রতিনিধির কথা হলে তারা জানান, এই জনপদের অধিকাংশ জমি আমন ধান কাটার পর খালি পড়ে থাকে। সেখানে একটি মাত্র সেচ প্রয়োগ করে গমের ফসল ফলানো সম্ভব।
২নং কয়রা গ্রামের কৃষক মো. শফি শেখ বলেন, ‘এলাকার জমি আমন ধান কাটার পর খালি পড়ে থাকতো। কিন্তু এ বছর কৃষি গবেষণার সহযোগিতায় আমি ৫ বিঘা জমিতে গম চাষ করে ভালো ফলন পাবো বলে আশা করছি।’
তিনি জানান, ধানের চেয়ে গম আবাদ লাভজনক হওয়ায় গম চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। গম চাষ করে বিঘা প্রতি ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা খরচ করে ১৩ থেকে ১৫ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।
অপর এক কৃষক জিয়াদ আলী বলেন, এলাকায় ইঁদুর গমের অনেক ক্ষতি করে। তবে কৃষি গবেষণার সহযোগিতায় সেটা দমন করতে পেরেছি।
এমএলটি সাইট কয়রার বৈজ্ঞানিক সহকারী মো. জাহিদ হাসান বলেন, কয়রায় লবণাক্ত এলাকার মধ্যে গমের ৪টি জাত নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে বারি গম-২৫ ও বারি গম-৩৩ এর ফলন ভালো হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
খুলনার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হারুনর রশিদ বলেন, ধান কাটার পর কয়রার অনেক জমি অনাবাদি পড়ে থাকে। যে সমস্ত জমি ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত চাষের উপযুক্ত হয় এবং ১ থেকে ২টি সেচের ব্যবস্থা থাকলে অনেক জমিতে গমের আবাদ বাড়ানো সম্ভব। কয়রায় ব্লাস্ট প্রতিরোধী জাত বারি গম-৩৩ দেয়া হয়েছে। সেটাই কৃষকরা চাষাবাদ করেছে।
তিনি আরও বলেন, এ বছর সারের দাম অন্য বছরের চেয়ে কম এবং গমের দাম বেশি হওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকরা গম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
আরও পড়ুন: আলু চাষের কথা বলে নিষিদ্ধ মাদক পপি চাষ!